কুতুবদিয়া চ্যানেলের কাছে উত্তাল সাগরে কানু যখন মৃত্যুর প্রহর গুনছিলো তখন এমভি জাওয়াদের ক্যাপ্টেন এসএম নাসিরুদ্দিন সাগরে ভেসে থাকা কানুকে দেখতে পায়।
সাথে সাথে বিষয়টি চট্টগ্রাম হেড অফিসে জানালে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ সাগরে ভাসমান মানুষটির জীবন বাঁচাতে যা যা করনীয় সব কিছু করতে নির্দেশনা দেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল সুপারেন্টেন্ড মোঃ ইমামুদ্দিন।
জাহাজের ক্রু ও জাহাজটি বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও সাহসীকতার সাথে সাগরে ভেসে থাকা কানুকে উদ্ধার করে। এতে তাদের নিজেদেরো ঝুঁকি ছিলো বলে জানান মেডিকেল কন্সালটেন্ড, বি আর এস এম এল ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ।
উদ্ধারকৃত জেলে কানু জানায় ৭দিন আগে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর ৭দিন আগে ডুবে যায়। তার সাথে আরো ১০জন মাঝিমাল্লা ছিলো।
জাহাজটির মালিক পক্ষ ইতিপূর্বে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক ২৬ জন বাংলাদেশি নাবিক আর বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জাহান মনিকে বিপুল অর্থ মুক্তিপনের বিনিময়ে মুক্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলো
জাহাজের মালিক পক্ষ বরাবরই মানবিক বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং আগামীতেও তা অব্যহত থাকবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম ।