ডেস্ক : চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানের দুবাইগামী ফ্লাইটের ছিনতাইকারী মাহাদি পাইলটের মাথায় যে অস্ত্রটি ঠেকিয়ে তাকে জিম্মি করেছিল, সেটি আসলে ছিল একটি খেলনা পিস্তল। দেখতে প্রায় আসল পিস্তলের মতোই ও্ই খেলনা পিস্তল দিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের ঝুঁকি নিয়ে ওই যুবক কমাণ্ডো অভিযানে প্রাণ হারান।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টার জিম্মি সঙ্কটের অবসানের পর রোববার দিনগত মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বিমানের ফ্লাইটটি বিকালে ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার পর মাঝ আকাশে ওই খেলনা পিস্তল দিয়েই যাত্রীদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি ক্রুদের জিম্মি করেন ওই যুবক ।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, মাহাদী নামের ওই যুবক নিজের কোনো এক ‘পারিবারিক সমস্যা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলতে চাইছিলেন বলে বিমানযাত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় বিমানের নতুন উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ১৪২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে দুবাইয়ে উদ্দেশে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। আকাশে ওড়ার পরপরই উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। খেলনা পিস্তল দিয়েই মাহাদী নামের ওই যুবকটি একাই পাইলট ও ক্রুদের জিম্মি করে রাখেন প্রায় দুই ঘণ্টা।
বিমানের কর্মকর্তার জানান, ১৬২ আসনের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজে ইকোনমি ক্লাসে ১৩৩ জন ও বিজনেস ক্লাসে নয়জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া পাঁচজন ক্রু, এর মধ্যে দুজন নারী ছিলেন। ককপিটে দুজন পাইলট ছিলেন। উড়োজাহাজটির মডেল বোয়িং ৭৩৭-৮০০।